আমি বিগত তিন দিন যাবৎ শারিরীকভাবে অসুস্থ। জ্বর, সর্দি, কাশি এবং মাথা ব্যাথা। জ্বর, সর্দি এবং মাথা ব্যাথা আমার নিত্য দিনের সঙ্গি। সামান্য আবহাওয়াগত পরিবর্তন আমাকে এইসবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় প্রতিনিয়ত। তাই এইসবের চিকিৎসা আমি নিজে করতে পারি এমন আত্মবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে আমার মাঝে। শুধু আমি কেন যারা আমার লেখাটি পড়ছেন তারাও এইসব অসুখের ছোটখাটো ডাক্তার। জ্বর, সর্দিকে, মাথা ব্যাথাকে আমরা প্রকৃত অর্থে কোন অসুখের কাতারেই গন্য করি না। এসবকে সঙ্গি করেও আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজ কর্ম স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাই। কিন্তু এই জ্বর সর্দি এবং মাথা ব্যাথা আজকে আমাকে এমনভাবে কোনঠাসা করে ফেলবে আমি স্বপ্নেও তা কখনো ভাবি নাই। দীর্ঘ একমাস গৃহবন্দি থাকতে আমার মাঝে কোন প্রকার অস্থিরতা কাজ করে নাই। কিন্তু এই তিন আমার মাঝে খুব বাজে রকমের অস্থিরতা কাজ করছে। মনে হচ্ছে আমি কোনঠাসায় পড়ে গিয়েছি।


যদিও বিগত তিন দিনে আমি আমার মাঝে কোন প্রকার করোনা ভাইরাসের উপসর্গ প্রর্যবেক্ষন করতে পারছি না, তার পরেও নিজেকে কোনঠাসা করে রাখতে বাধ্য হয়েছি। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে অসুস্থ হলেই সাধারন মানুষের ভিতরে এক ভ্রান্ত ধারনা এবং ভয় বাসাবাধতে সময় নিচ্ছে না। তাতে করে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাক বা না থাক। তাদেরকে করোনা চিকিৎসা গ্রহনের পরামর্শ দানে সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এবং সবার আগে তাকে গৃহবন্দি থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়। কিন্তু ওই ব্যক্তিটির করোনা ভাইরাস ব্যতিত অন্য কোন গুরুতর সংক্রমন হওয়ার সম্ভবনায় থাকতে পারে এবং তার যথাযথ পরিচর্যার প্রয়োজনিয়তা থাকতে। কিন্তু বর্তমানে বাস্তবতা বলছে অন্য কথা, অাপনি সুস্থ থাকলেও আপনার নিজের এবং নিজের পরিবারের সার্বিক সুরক্ষার জন্য কোনঠাসা হওয়াটা বাধ্যতামূলক।
সৃষ্টিকর্তা যেন এমনটা না করেন আমার সাথে এবং আপনাদের সাথে। আমি কোনঠাসা হয়ে থাকতে রাজি আছি, কোন ঠাসা হয়েই নিজের বারান্দা থেকে প্রকৃতির ছবি তুলেছি।